এনালাইসিস যখন প্যারালাইসিস আমরা জানি ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে ইকোনোমিক নিউজ অনেক গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু অতি মাত্রায় ইকোনমিক নিউজ পর্যালচনা করা, আপনার ট্রডিংয়ে জন্য খুবই খারাপ হতে পারে। অনেক ট্রেডার এবং বিনিয়োগকারীদের একটি সাধারণ কৌশল থাকে দিনের বেশ কয়েক ঘন্টা ইকোনোমিক নিউজ পর্যবেক্ষণ ও পর্যালচনা করা। অনেকে আবার কয়েকজনের একটা গ্রুপ তৈরি করে আলোচনা করে থাকেন। বিষয়টি একদিকে গুরুত্ব বহন করে আবার অতি মাত্রায় এনালাইসিস করা ট্রেডিংয়ের জন্য অত্যন্ত খারাপ ফলাফল ডেকে আনতে পারে। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, বেশিরভাগ পন্ডিত নিজেরাই ট্রেড করেন না বরং অধিকাংশই অলোচনার মধ্যেই সিমাবদ্ধ থাকেন। ট্রেডেংয়ে সফল হতে হলে শুরুমাত্র জ্ঞান থাকলে হবে না, থাকবে হবে সহস এবং ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা। ফান্ডামেন্ডাল এনালাইসিস গুরুত্ব বহন করলেও প্রাইসের টেকনিক্যাল এনালাইসিস হলো যে কোনো মার্কেটে ট্রেড করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। এমন কোনো ব্যক্তির মতামত, যিনি সম্ভবত ট্রেডও করেন না, তার মতামতের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করা চরম ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার এক ধাপ মাত্র। আপনার ট্রেডিং চার্টকে প্রচুর ইন্ডিকেটরের সাথে ভীড় করা যেমন বিরোধপূর্ণ সিগন্যাল সৃষ্টি করতে পারে; তেমনি অতিরিক্ত আর্থিক খবর দেখা আপনাকে সময়োপযোগী এবং লাভজনক ট্রেড কার্যকর করা থেকে বিরত রাখতে পারে। অনেকে বলতে পারেন, তাহলে কি আমি ইকোনমিক নিউজ পর্যালচনা করব না? অবশ্যই করবেন তবে অতিমাত্রায় না। আপানকে দেখেতে হবে ইকোনমিক ক্যালেন্ডার এবং কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট ইভেন্ট যা নিয়ে আমরা আগের আর্টিকেলে আলোচনা কররেছি। আগের আর্টিকের টি পড়ুন : Forex Article in Bangla আপনার ট্রেডিং সিস্টেমেকে ভালোবাসুন এবং বিশ্বাস করুন: এনালাইসিস প্যারালাইসিস বাড়ার আরো একটি বড় সমস্যা হলো, আপনি আপনার ট্রেডিং সিস্টেমে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। বিশ্বাস করুন অপনি যদি আপনার ট্রেডিং সিস্টেমকে ভালোবাসতে পারেন তাহলে তৈরি হবে বিশ্বাস আর বিশ্বাসই আপনাকে নিয়ে যাবে সফলতার দারপ্রান্তে। আপনার ট্রেডিং সিস্টেমে বিশ্বাস রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কোনো ট্রেডিং সিস্টেমে সত্যিকারের বিশ্বাস গড়ে তোলার সর্বোত্তম উপায় হলো সিস্টেমটির সাথে ধারাবাহিক লাভজনক হওয়া অবধি ডেমো ট্রেড প্র্যাকটিস করা। ডেমো একাউন্ট ওপেন করতে আমাদের ফরেক্স ব্রোকার সেকশন দেখুন: Forex Broker Reviews ধরে নিই যে, আপনি একটি লাভজনক ট্রেডিং সিস্টেম ব্যবহার করছেন, এতে আপনার সিস্টেমে বিশ্বাস তৈরি করা ট্রেডিং প্যারালাইসিসের সম্ভাবনা অনেকটাই হ্রাস করবে। ট্রেডিং জার্নাল মেনে চলার অভ্যাস করতে হবে: একটি ট্রেডিং জার্নাল রাখা আপনার ট্রেডের সিস্টেমেও আস্থা তৈরি করতে সত্যই সহায়তা করে। জার্নালিং আরো ভালো ট্রেড বাছাই করতে সহায়তা করে এবং সময়ের সাথে সাথে আপনার সামগ্রিক পারফরমেন্স বা কর্মক্ষমতা উন্নত করে। একটি ট্রেডিং জার্নাল আপনার ট্রেডিং সিস্টেমে আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে, কারণ এটি আপনাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোন ট্রেডগুলি, কোন সেটআপগুলি এবং কোন টাইম ফ্রেম ইত্যাদির জন্য ট্র্যাক করতে দেয় যে, … আপনার পক্ষে সবচেয়ে কোনটি ভাল কাজ করেছে। ফরেক্স মার্কেটে নিয়ন্ত্রন আনার উপায়: এই আর্টিকেলে পাবেন আপনার লসগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করুন: আপনার রিস্ক বা মানি ম্যানেজমেন্ট-এর উপর দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণ রাখা ট্রেডিং প্যারালাইসিসের বিরুদ্ধে লড়াই করার অন্যতম সেরা উপায়। স্টপ লস সেট করা, প্রতি ট্রেডে আপনার এক্সপোজারটি নিয়ন্ত্রণ করা এবং আপনার ব্যয় আচ্ছাদিত করা যথাযথ মানি ম্যানেজমেন্ট-এর সমস্ত বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। মার্কেটে প্রবেশের আগে আপনার পছন্দ হিসাবে সর্বদা একটি স্টপ লস সেট করা উচিত। স্টপ ছাড়াই ট্রেডিং বিপর্যয়কর হতে পারে। আপনি যদি ট্রেড প্রতি আপনার অ্যাকাউন্টের একটি ছোট নির্দিষ্ট শতাংশের রিস্ক নিয়ে থাকেন তবে আপনার ট্রিগারটি টানানোর আশঙ্কা কম হবে। বেশিরভাগ এক্সপার্টরা প্রতি ট্রেডে ১% বা তারও কম রিস্ক নেওয়ার পরামর্শ দেন। ট্রেডিংয়ের চাপ কমাতে এবং এর ফলে ট্রেডিং প্যারালাইসিসেরে প্রতিকূলতা কম করার আর একটি উপায় হলো, আপনার ট্রেডিংয়ের ব্যয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাটাতে মানি ম্যানেজমেন্টের কৌশল ব্যবহার করা। দয়া করে অন্যন্য Article গুলো খুবভালো করে পড়ার অনুরোধ রইল। FxSuccessBD কে Facebook এ ফলো করুন এখনই: Facebook Page
নতুন ট্রেডারদের মধ্যে ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খোলার সময় প্রথম যে প্রশ্ন আসে, তা হল মাইক্রো অ্যাকাউন্ট না স্ট্যান্ডার্ড অ্যাকাউন্টে ওপেন করা উচিত? আসলে কোন ধরনের একাউন্ট ওপেন কারা উচিত? এই পোস্টে আমরা বিষয়গুলো বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। আমরা জানি,ফরেক্স মার্কেটে প্রতি পিপস মুভমেন্টে থেকে লাভ বা লস দুইটাই করা যায়। অর্থাৎ প্রাইস ১.১৭১০ থেকে ১.১৭২০ এ গেলে আমাদের ১০ পিপস লাভ বা লস হবে। লট/ভলিউমের মাধ্যমে আমরা নির্ধারণ করে দিবো যে প্রতি পিপস (PIPS) আমাদের অনুকূলে বা প্রতিকূলে গেলে আমাদের কি পরিমান লাভ বা লস হবে। পূর্বে ফরেক্স নির্দিষ্ট সংখ্যক লট অনুসারে ট্রেড হল। ১টি লটের স্ট্যান্ডার্ড সাইজ হল ১০০,০০০ ইউনিট। এই ১ স্ট্যান্ডার্ড লট বা ১০০,০০০ ইউনিটের একটি ট্রেড ওপেন করলে প্রতি পিপস পরিবর্তনের জন্য ১০ ডলার করে পরিবর্তন হয়। এতো বড় লট বা ভলিউমে ট্রেড করা সব ট্রেডারদের পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই ব্রোকাররা ট্রেডারদের সুবিধার্থে স্ট্যান্ডার্ড লটের অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি মিনি, মাইক্রো এবং ন্যানো লটের অ্যাকাউন্টে ট্রেড করার সুবিধা প্রদান করা শুরু করেছে। কিন্তু মিনি আর ন্যানো লট সাইজের অ্যাকাউন্ট খুব কম ব্রোকারই প্রদান করে এবং জনপ্রিয়ও নয়। মূলত ২ ধরনের লট সাইজের অ্যাকাউন্ট ট্রেডারদের মধ্যে জনপ্রিয়ঃ স্ট্যান্ডার্ড লট অ্যাকাউন্ট মাইক্রো লট অ্যাকাউন্ট এই অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে আসল পার্থক্য হল লট সাইজের। স্ট্যান্ডার্ড অ্যাকাউন্টে ১ লটে ১০০,০০০ ইউনিট ভলিউম ট্রেড করা হয়। মিনি অ্যাকাউন্টে তার ১০ ভাগের এক ভাগ। মাইক্রো অ্যাকাউন্টে মিনি অ্যাকাউন্টের ১০ ভাগের ১ ভাগ। আর ন্যানো অ্যাকাউন্টে মাইক্রো অ্যাকাউন্টের ১০ ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ, মাইক্রো অ্যাকাউন্ট স্ট্যান্ডার্ড অ্যাকাউন্টের ১০০ ভাগের ১ ভাগ। তবে মেটাট্রেডার বেজড ব্রোকারে আপনি ইউনিট হিসাব না করে শুধু লট বা ভলিউম হিসাব করেই সহজে ট্রেড করতে পারবেন। স্ট্যান্ডার্ড এবং মাইক্রো অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন লট অনুযায়ী পিপস ভ্যালুর একটি চার্ট নিচে দেয়া হল। কোন ধরনের অ্যাকাউন্টে ট্রেড করবো? অধিকাংশ ব্রোকার আপনাকে সর্বনিম্ন ০.০১ লটে ট্রেড করতে দিবে। অর্থাৎ, স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ১০ সেন্ট। আর মাইক্রো লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ০.০০১ ডলার, যা কিনা ১ সেন্ট এর ১০ ভাগের ১ ভাগ। সুতরাং আপনার ক্যাপিটাল যদি কম হয়ে থাকে, তাহলে আপনি মাইক্রো লট অ্যাকাউন্টে কম রিস্ক নিয়ে ট্রেড করতে পারবেন। আর ক্যাপিটাল বেশি হলে স্ট্যান্ডার্ড অ্যাকাউন্টে ট্রেড করাই সুবিধাজনক। আপনি যদি সাধারনত ১০ সেন্ট প্রতি পিপস ভ্যালু এর নিচে ট্রেড না করেন তবে স্ট্যান্ডার্ড অ্যাকাউন্টে ট্রেড করতে পারেন। সাধারনত ১০০০$ এর নিচে ক্যাপিটাল হলে মাইক্রো অ্যাকাউন্টে ট্রেড করাই ভালো। শুধু যে আপনি ১ লট, ০.১ লট অথবা ০.০১ লটে ট্রেড করতে পারবেন তাই নয়, আপনি চাইলে ২.৫ লট, ১.৩ লট এরকম কাস্টম লটেও ট্রেড করতে পারেন, এবং তা সব ধরনের লট সাইজের অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। বেশিরভাগ ব্রোকার একটি ট্রেডে সর্বোচ্চ ১০০ লট পর্যন্ত সাইজের ট্রেড করতে দেয়। কিভাবে বুঝবো আমার ব্রোকার কোন ধরনের অ্যাকাউন্ট প্রদান করে? প্রায় সকল ব্রোকারই স্ট্যান্ডার্ড অ্যাকাউন্ট প্রদান করে থাকে। কিছু কিছু ব্রোকার ট্রেডারদের সুবিধার্থে এর পাশাপাশি মাইক্রো অ্যাকাউন্টে ট্রেড করার সুযোগ দেয়। যেমনঃ Hotforex , XM ব্রোকারটিতে স্ট্যান্ডার্ড এবং মাইক্রো উভয় ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। আপনি অ্যাকাউন্ট খোলার সময় বা ব্রোকারের ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্টের ধরন সংক্রান্ত পেইজ থেকে জানতে পারবেন আপনি যেই ব্রোকারে ট্রেড করতে চান তারা কি কি ধরনের লট সাইজের অ্যাকাউন্ট সমর্থন করে। এছাড়া আপনার পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার কিংবা লাইভ চ্যাটে জিজ্ঞেস করে এ বিষয়ে জানতে পারবেন।
সফলভাবে ট্রেড করতে হলে অবশ্যই আপনাকে সঠিকভাবে নিউজ সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই অর্থনৈতিক নিউজগুলোই ফরেক্স মার্কেটের মূল চালিকাশক্তি। প্রতিদিন আমরা দেখেছি যে, কিছু কিছু সময়ে কিছু কারেন্সি পেয়ারে মুুভমেন্ট অনেক বেশি হয়। অসলে এই সময় গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ নিউজ রিলিজ হয়। এবং এই নিউজ গুলো আপনি বিভিন্ন ব্রোকারের ইকোনমিক ক্যালেন্ডার (Economic Calendar) সেকশনে পাবেন। নিউজ রিলিজ হওয়ার পূর্বে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জরিপ করে কোন নিউজের ভ্যালু কিরকম আসতে পারে তার একটা পূর্বাভাষ ভ্যালু (forecast) তৈরি করে। এই ভূমিকায় থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যাদেরকে নিউজ এজেন্সী বলা হয়ে থাকে এগুলোর মধ্যে রয়েছে Bloomberg, CNBC এর মত বড় বড় বিজনেজ নিউজ এজেন্সী। এই forecast ভ্যালুর চেয়ে actual ভ্যালু খারাপ হওয়া ঐ দেশটির খারাপ অর্থনৈতি নির্দেশ করে থাকে , আর Forecast ভ্যলু থেকে ভাল করা মানে দেশটির ইকোনমি ভাল করছে। নিউজ আসার সাথে সাথে প্রাইস প্রচুর উঠানামা করে মার্কেটকে করবে HIGH VOLATILE। ফান্ডামেন্টাল থিওরী অনুযায়ী কোন দেশের ইকোনমি ভাল করছে এই খবর আসলে সাথে সাথে ঐ দেশের মুদ্রার মান বাড়তে থাকবে আর ঐ দেশের ইকোনমি খারাপ করছে খবর আসলে মুদ্রার মান হ্রাস পাবে। যারা স্কালপিং করেন তাদের জন্য নিউজ ট্রেডিং আশীর্বাদস্বরুপ কারণ নিউজ রিলিজ হওয়ার ৫-১০ মিনিটেই ৩০-৭০ পিপস মুভ হতে পারে। সেটা নির্ভর করে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ নিউজ সেটার উপরে। উপরের ছবিতে দেখুন কোন দেশের কোন কোন নিউজে কত পিপ মুভমেন্ট হতে পারে এবং কত টুকু চেঞ্জে নিউজ ফিগার আসলে সেটা ট্রেড করা যায়। Tradable Figure হচ্ছে ঐ নিউজের forecast থেকে কতটুকু চেঞ্জে actual figure আসলে সেটা ট্রেড করার যোগ্য। উপরের ট্রেডেবল ফিগারটা হচ্ছে একেবারে মডারেট ফিগার। মানে অতটুকু একচুয়াল ভ্যালু চেঞ্জ হলে প্রাইস অবশ্যই মুভ করবে। কিন্তু বাস্তবে ট্রেড করার জন্য অতটুকু চেঞ্জ দরকার হয় না । কিছুটা কম চেঞ্জ হলেও সমস্যা নেই। যেমন US Nonfarm payroll হচ্ছে অনেক স্পর্শকাতর একটা নিউজ। এটার ট্রেডেবল ফিগার দেয়া আছে 70K ডিফারেন্সে। কিন্তু 70K ডিফারেন্স না হয়ে কম হলেও প্রাইস প্রচুর মুভ করবে। Movement range হচ্ছে কত পিপস মুভ হতে পারে। নিউজটি পক্ষে আসলে প্রাইস বাড়বে আর বিপক্ষে আসলে প্রাইস কমবে। বিভিন্ন ব্রোকার নিউজ রিলিজের সময় স্প্রেড বাড়িয়ে দেয় কারণ ঐ মুহূর্তে মার্কেটে volatility বেশি থাকে। তাই আপনার একাউন্ট ফিক্সড স্প্রেড না হলে স্প্রেড বেশি দেখলে অবাক হবেন না। Requotes হতে পারে যদি আপনার ব্রোকার Market Maker হয়ে থাকে। আবার মাঝে মাঝে প্লাটফর্ম হ্যাং হয়ে যেতে পারে। আবার ট্রেড ওপেন হয়ে গেলেও শো না করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি পুনরায় ট্রেড ওপেন করে ফেললে পরে দেখবেন ২টা ট্রেড। নিউজ রিলিজের পর একচুয়াল ভ্যালু যা আসে তা মাঝে মাঝে সংশোধন হয় যাকে Revise বলে। যেমন ইউএস এর jobless claims আসল প্রচুর। jobless claims প্রচুর আসা মানে আমেরিকায় চাকরি সঙ্কট প্রচুর। মানে আমেরিকার ইকোনমি খারাপ অবস্থায় আছে। আপনি eur/usd বাই দিলেন। পরে revised figure আসল যে আসলে ততটুকু খারাপ নয়। তখন মার্কেট সাথে সাথে ইউ টার্ন করবে। সেসময় আপনাকে স্ক্রিনের সামনে থাকতে হবে যাতে কোন অপ্রত্যাশিত লস থেকে ট্রেডকে SAVE করা য়ায়। তাই নিউজ ট্রেড অবশ্যই সতর্কতার সহিত করতে হবে।
অনেক ট্রেডার আছেন পিভট পয়েন্ট বললে সাপোর্ট ও রেসিস্ট্যান্স বুঝে থাকেন। অনেকে আবার সাপোর্ট বা রেসিস্ট্যান্সের সম্ভাব্য লেভেল হিসাবে পিভট পয়েন্টগুলি ব্যবহার করে থাকেন। কিছু ট্রেডার আছেন যারা তাদের প্রধান সেটআপ হিসাবে পিভট পয়েন্ট ব্যবহার করেন। রিট্রেন্সমেন্ট ট্রেডের ক্ষেত্রে পিভট পয়েন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে যদি এটাকে আপনি সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারেন। পিভট পয়েন্টস কী? এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক, পিভট পয়েন্ট মূলত কি? পিভট পয়েন্টগুলি মূলত ডেইলি সাপোর্ট এবং রেসিস্ট্যান্সের লেভেল যা পূর্ববর্তী দিনের প্রাইস ডাটা থেকে গণনা করা হয় এবং ডে ট্রেডিংয়ের জন্য সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট বা প্রফিট টার্গেট লক্ষ্য করে। পিভট পয়েন্ট গননা করা হয় এভাবে:Pivot point (P) = (Previous High + Previous Low + Previous Close)/3. ডে ট্রেডারদের কাছে পিভট পয়েন্ট অন্যতম শক্তিশালী একটি টুলস্ । এমনকি যদি আপনার কৌশলটি পিভটের উপর ভিত্তি করে না হয় তবে এগুলি আপনার চার্টে রাখা প্রায়শই ভাল ধারণা। একটি ভাল পিভট পয়েন্ট কৌশল আপনাকে বিপজ্জনক ট্রেড এড়াতে এবং কোনও স্ট্রাইক-রেটকে প্রায় কোনও পদ্ধতির উন্নতি করতে দেয়। পিভট পয়েন্টগুলির সুবিধা নেওয়ার জন্য অনেকগুলি সিস্টেম ডেভলপ করা হয়েছে, কিছু অন্যদের চেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করে। এখানে কাজ করে এমন একটি সাধারণ পিভট পয়েন্ট ট্রেডিং সিস্টেমের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরছি। পিভট পয়েন্ট ইন্ডিকেটর: অনলাইনে অনেক ধরনের পিভট ইন্ডিকেটর পাবেন এবং আপনি চাইলে যেকোন একটি ব্যবহার করতে পারেন। ট্রেড শুরু করার আগে প্রতিদিনের পিভট পয়েন্ট জেনে নিন। আপনি নিজেই পিভট পয়েন্ট বের করতে পিভট পয়েন্ট ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য আপনাকে ফরেক্স চার্ট থেকে ডে ক্যান্ডেলের হাই, লো, ক্লোজ ও ওপেন জেনে নিতে হবে। এছাড়াও আপনি ইচ্ছে করলে পিভট পয়েন্ট ইন্ডিকেটর ব্যবহার করে প্রতিদিনের পিভট পয়েন্ট এর আপডেট চার্টেই পেতে পারেন। পিভট পয়েন্ট বাউন্স ট্রেডিং পদ্ধতি: এবার আপনার ট্রেডিং চার্টে পিভট পয়েন্ট ইন্ডিকেটরটি এড করে নিনি। এই ধরণের ট্রেডের জন্য ১৫-৩০ মিনিটের চার্টগুলি সবচেয়ে ভাল কাজ করে। বর্ণনার উদ্দেশ্যে আমরা ক্যান্ডেলেস্টিকযুক্ত ১৫ মিনিটের চার্ট ব্যবহার করব। আমরা যা খুঁজছি তা হলো এমন পরিস্থিতি যেখানে মার্কেট জোরালোভাবে একটি পিভট পয়েন্ট লেভেলের দিকে যাচ্ছে। এটি সংজ্ঞায়িত বা চিহ্নিত করার উপায়টি হলো যদি ক্যান্ডেলগুলি একটি আপট্রেন্ডে একটানা হাইয়ার লো তৈরি করে অথবা একটি ডাউনট্রেন্ডে একটানা লোয়ার হাই তৈরি করে। ধরে নেওয়া যাক আমরা এই উদাহরণের উদ্দেশ্যটির জন্য একটি আপট্রেন্ড দেখছি (নীচের চিত্রটি দেখুন)। আমাদের প্রতিটি ক্যান্ডেলে পিভট পর্যন্ত পৌঁছাতে আরো কয়েকটি হাইয়ার লো’র সিরিজ রয়েছে এবং আমাদের যেটি অপেক্ষা করতে হবে তা হলো প্রথম ক্যান্ডেল যা পিভট পয়েন্টটি স্পর্শ করার পরে একটি হাইয়ার লো তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। এটি আমাদেরকে একটি ভিজ্যুয়াল ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটের গতিবেগ পরিবর্তন হচ্ছে, যা আমাদের কাছে নিশ্চিত করে যে পিভট রেসিস্ট্যান্স হিসাবে কাজ করছে। উপরে উল্লিখিত মানদণ্ডগুলি একবার স্থির হয়ে গেলে, আপনি এমন একটি ট্রেড স্থাপনের সন্ধান করবেন যা কোয়ালিফায়িং ক্যান্ডেলেস্টিকের নিচের অংশটি ভেঙে যাওয়ার সাথে সাথে ট্রিগার করে। এটি মার্কেটে দিক পরিবর্তনের দ্বিতীয় নিশ্চিতকরণ হিসাবে কাজ করে। পিভট লেভেলটি টাচড বা ছোঁয়ার পরে প্রাইস পৌঁছেছে আর স্টপ লসটি সর্বোচ্চ পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে। প্রফিট টার্গেট যতদূর যায়, আপনি পরবর্তী পিভট লেভেলটি লক্ষ্যবস্তু করতে পারেন। এটি আপনাকে সাধারণত তুলনামূলকভাবে স্মল রিস্কের জন্য একটি বড় রিটার্ন দেয়। আপনার ট্রেডটি আপনার দিকে চলে যাওয়ার পরে আপনার স্টপ লসটি একবার ব্রেকইভেনের দিকে নিয়ে যাওয়া উচিত। প্রত্যাশা অনুযায়ী যদি আপনার ট্রেডটি পিভট পয়েন্টে দৃঢ়তার সাথে বাউন্সিং অফ (bouncing off) বা বন্ধ না করে তবে তাড়াতাড়ি আপনার প্রফিট নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকুন। বেশিরভাগ ট্রেডিং পদ্ধতিগুলির মতো, এই কৌশলটির সাথে লক্ষ্য করার মতো একটি অতিরিক্ত বিষয় হলো, মার্কেটটি সক্রিয় এবং সুন্দরভাবে চলতে থাকলে এটি কেবল ধারাবাহিকভাবে ভাল কাজ করে। আপনি যে মার্কেটটি দেখছেন তা যদি খুব স্পষ্টভাবে চপি (choppy) এবং রেঞ্জের সীমাবদ্ধ হয়, তবে বিরতি নেওয়া বা অন্য কোনো মার্কেট বিবেচনা করা ভাল। আপনি কীভাবে পিভট পয়েন্ট বাউন্স পদ্ধতিতে ট্রেড করবেন এই আর্টিকেলটি উপভোগ করেছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি আপনার কষ্টার্জিত অর্থ ঝুঁকিতে আরামদায়ক (comfortable risking) না হন ততক্ষণ এই টেকনিকটি ডেমো ট্রেডিংয়ে ব্যবহার করে নিশ্চিত হন। এই সমস্ত প্রাইস এ্যাকশন ফর্মেশন এবং কৌশলগুলি, টপ ডগ ট্রেডিং পদ্ধতির (Top Dog Trading method) মতো একটি ভাল ট্রেডিং পরিকল্পনা আপনাকে আপনার পজিশনগুলি গ্রহণের জন্য সেরা ট্রেডের যোগ্যতা অর্জনে সহায়তা করতে পারে।
ফরেক্স ভিপিএস সামগ্রিক (Forex VPS) মুলত যারা ওয়েব হোস্টিং করেছেন তারা অবশ্যই VPS সম্পর্কে জেনে থাকবেন। সাধারণ ব্যবহারকারীদের VPS অধিকাংশই লিনাক্স বেজড হয়ে থাকে। কিন্তু যারা ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করে থাকেন তাদের প্রয়োজন হয়ে থাকে Windows বেজড VPS। ভিপিএস (VPS) বর্তমানে ট্রেডারদের কাছে বহুল প্রচলিত একটা বিষয়। ট্রেডাররা তাদের ট্রেডিংয়ের সুবিধার জন্য ভিপিএস ব্যবহার করে থাকেন। এই সুবিধার গুলোর মধ্যে রয়েছে: ১. অটোমেটেড ট্রেডিং ( EA Trading) ২. কপিট্রেড করার জন্য (Copy Trade) ৩. ট্রেড এক্সিকিউশন (Execution) আরও দ্রুত করার জন্য ৪. ট্রেডিং স্ট্রেটেজি টেস্ট করার জন্য এখন প্রশ্ন হল ভিপিএস (VPS) আসলে কি? ভিপিএস (VPS) হল,ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার (virtual private server)। একটা ডেডিকেটেড সার্ভারকে ভার্চুয়ালাইজেশন (Virtualization) সফটওয়্যারের মাধ্যমে একাধিক ভাগে ভাগ করে নোড (slice/node) তৈরী করা হয় । এই একেকটা নোড একেকটা ইন্ডিপেন্ডেট সার্ভার হিসাবে কাজ করে থাকে। এই VPS বা ইন্ডিপেন্ডেট সার্ভারের অপারেটিং সিস্টেম যেকোন কছুই হতে পারে যেমন: লিনাক্স বা উইন্ডোজ বা অন্য কিছু। এই ভিপিএস –কে ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভারও বলা হয়ে থাকে। ভিপিএস-এ ডেডিকেটেট সার্ভারের ন্যায় ইউজার কন্টোল থাকে , এবং ক্লায়নেট নিজে স্বাধীন ভাবে সফটওয়্যার ইউজ করতে পারেন। ভিপিএস সার্ভার ডেডিকেটেড সার্ভারের থেকে প্রাইজ অনেক কম হয়ে থাকে। এবং ভিপিএস যেহেতু একটি ফিজিক্যাল হার্ডওয়ার ভাগ করে ইউজ হয়ে থাকে সেহেতু ভিপিএস এর তুলনায় ডেডিকেটেড সার্ভারের পারফর্মেন্স অনেক ভাল হবে। মুলত অধিক রিসোর্স এর জন্য ডেডিকেটেড সার্ভার ইউজ করা হয় এবং অপেক্ষাকৃত কম রিসোর্স এর জন্য ভিপিএস সার্ভার ইউজ কয়া হয়। সার্ভারে কনফিগারেশন ( Configuration) অনুসারে নোড (slice/node) তৈরী করা হয়ে থাকে। ফরেক্স ট্রেডাররা উইন্ডোজ ভিপিএস (VPS) ব্যবহার করে থাকেন কারন উইন্ডোজ ভিপিএস এবং উইন্ডোজ PC দুটি বিষয়ই এক। আর এই ভিপিএস এর মধ্যে ট্রেডাররা তাদের MT4/MT5 ওপেন রেখে EA কান্টেক করে দেন যাতে EA 24/7 কোন রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই চলতে পারে। যারা EA (ফরেক্স রোবট) ব্যবহার করে ট্রেড করেন, অথবা অতি মেধাবী কিছু কোডার যারা ব্রোকারের প্রাইছ ফিডের দুর্বলতা বের করে Arbitrage trading করেন, তারা অবশ্যই ফরেক্স VPS ব্যবহার করেন। এই ধরনের ট্রেডিংয়ের জন্য LOW LATENCY ভিপিএস অনেক গুরুত্বপূর্ণ্য। LOW LATENCY বলতে ব্রোকার সার্ভার এবং MT4 হোস্টিং সার্ভার এর কান্টেশন SPEED কে বোঝান হয়েছে। আপনি যত ব্রোকার সার্ভরের কাছে ট্রেড করেত পারবেন তত LOW LATENCY কানেকশন পাবেন এবং ট্রেড অনেক দ্রুত EXECUTION হবে, যা ট্রেডিং এর জন্য অনেক গুরুত্বপূন্য। ঠিক এই কারনে প্রফেশনাল ট্রেডরা ভিপিএস ব্যবহার করে ট্রেড করে থাকেন। ফরেক্স VPS মুলত একটি ভার্চুয়াল কম্পিউটার যা হাইস্পীডি এবং সবসময় দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট দ্বারা কানেকটেড থাকবে। যা সাধারণত হ্যাং করেনা, বন্ধ হয়না, এবং কখনো নেটওয়ার্ক চলে যায়না। আমরা যারা ফরেক্স এ রোবট ব্যবহার করে থাকি তাদের সবসময় পিসি চালু রাখতে হয়। কখনো যদি পিসি বন্ধ বা হ্যাং হয়ে যায় তখন কিন্তু রোবট আর কাজ করেনা।সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো VPS সার্ভারে এক্সিকিউশন আমাদের স্লো গতির ইন্টারনেট থেকে অনেক দ্রুত হয়ে থাকে। যার ফলে স্লিপেজ বা রিকোট সমস্যা হয়না বললেই চলে। আর যারা সবসময় ল্যাপটপ বা পিসির সামনে থাকতে পারেন না তারা চাইলেই কিন্তু মোবাইল থেকে সরাসরি VPS সার্ভারে লগইন করে মোবাইলেই MT4 এর ক্লাসিক ইন্টারফেস যা পিসিতে থাকে সেটা দেখতে পারেন। এবং মোবাইল থেকেই সার্ভার নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। এটার জন্য GOOGLE Play Store থেকে “ Remote Desktop Computer” নামের Apps টি ডাউনলোড করে নিলেই হবে, অবশ্যই Microsoft এর দেখে নিবেন। মোটকথা যারা সিরিয়াস ট্রেডার এবং পার্সোনালি EA বা অটো স্ক্রীপ্ট ব্যবহার করে থাকেন তাদের জন্য কিন্তু FOREX VPS এর বিকল্প নেই। VPS হোলো Virtual Private Server. অল্প টাকায় নিজের একটা server. আপনার যদি অনেক user/traffic থাকে কিংবা নিরাপত্তা সমস্যা থাকে তবে VPS হতে পারে ভালো সমাধান। যে হারে hacking চলছে তাতে VPS ই ভালো সমাধান। নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকবে সব কিছু। VPS ক্রয় করার আগেঃ কোন ধরনের VPS কিনবেন তা অনেকটা নির্ভর করে আপনার প্রয়োজনীয়তার উপর, আপনি কয়টা MT4/MT5 ওপেন রাখতে চান তার উপর। VPS কেনার আগে VPS কনফিগারেশন দেখে নিতে হবে যেমন র‌্যাম (RAM), সিপিউ (CPU), এস.এস.ডি (SSD) এবং অন্যান্য বিষয়সমূহ। লক্ষ রাখতে হবে আপনার VPS লোকেশন এবং ব্রোকারের লোকেশন যেন কাছাকছি হয়। তার জন্য আপনি ব্রোকারের ওয়েবসাইটে গিয়ে Latency টেস্ট করে নিতে পারবেন। আপনি যদি আপনার VPS এ ২ টি MT4 চালাতে চান তাহলে অবশ্যই ১ জিবি RAM থাকতে হবে, বেশি হলে আপনার EA আরও ভালো কাজ করবে। অনুরূপভাবে যদি আরও বেশি MT4 চালাতে চাল তাহলে আরও বেশি র‌্যাম প্রয়োজন, সাথে থাকতে হবে CPU কোর এবং SSD। জনপ্রীয় কিছু ফরেক্স VPS প্রোভাইডার: অনলাইনে অনেক VPS Provider পাওয়া যাবে কিন্তু প্রয়োজনীয়তার উপর, প্রাইসের এবং মানের দিক দিয়ে সেরা কিছু Forex VPS Provider নিয়ে আমরা আলোচনা করব। প্রতিটি ভিপিএস প্রোভাইডারই দিচ্ছে Money Back Gurantee! 1. FxSVPS.COM অনলাইনে আছে ২০১২ সাল থেকে সাথে আছে ৫* রিভিউ। FxSVPS বর্তমানে অনলাইনে অনেক জনপ্রীয় এবং Trusted ফরেক্স VPS প্রোভাইডার যেখানে আপনি মাত্র ২.৫ ডলারেই আপনার ট্রেডিং VPS পেতে পারেন। সাথে থাকছে আপনার অটো ট্রেডিংকে SMOOTH করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল টুলস। গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যসমূহ: ১. বাজারের সবচেয়ে কম মূল্যে ফরেক্স VPS পাবেন, মাত্র ২.৫ ডলার। ২. VPS configuration তুলনামূলক অনেক ভালো পাবেন। ৩. SSD ডিস্ক পাবেন। ৪. MT4 Install করা থাকবে। আপনি যে ব্রোকারের MT4 চান বলে দিতে হবে। ৫. MT4 Auto Startup টুল্স Activate করা থাকবে। ৬. Exclsuvie প্যাকেজ Yearly Subscribe করলে থাকবে Massive Discount এবং সাথে ২ মাসের জন্য ফ্রি। ৭. Payment Option: Paypal, Neteller, Skrill, Perfect Money, Payeer, Crypto(Bitcoin, LiteCoin etc), Payza ৮. সার্ভার লোকেশন: USA, UK, Canada, Germany, France, Poland, Netherland Singapore, Australia. ওয়েবসাইট: www.fxsvps.com 2. FxVPSPRO.COM অনলাইনে আছে ২০১৩ সাল থেকে সাথে আছে ৫* রিভিউ। FxVPSPRO ও ভেরিফাইড এবং Trusted ফরেক্স VPS প্রোভাইডার যেখানে আপনি মাত্র ২.৯৯ ডলারেই আপনার ট্রেডিং VPS পেতে পারেন। সাথে থাকছে আপনার অটো ট্রেডিংকে SMOOTH করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল টুলস। গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যসমূহ: ১. Forex VPS এর মূল্য তুলনামূলক অনেক কম, শুরু মাত্র ২.৯৯ ডলার থেকে। ২. VPS configuration তুলনামূলক অনেক ভালো পাবেন, ১ জিবি র‌্যাম থেকে শুরু। ৩. SSD ডিস্ক পাবেন। ৪. MT4 Install করা থাকবে। ৫. MT4 Auto Startup টুল্স Activate করা থাকবে। ৬. Yearly Subscribe করলে থাকবে Massive Discount। ৭. Payment Option: Paypal, Neteller, Skrill, Perfect Money, Payeer, Crypto(Bitcoin, LiteCoin etc), Payza ৮. সার্ভার লোকেশন: USA, UK, Canada, Germany, France, Poland, Netherland। ওয়েবসাইট: www.fxvpspro.com 3. BESTFXVPS.COM প্রফেশনাল ট্রেডারদের জন্য প্রয়োজন হাইয়ার কনফিগারেশন VPS এবং BestFxVPS আপনাকে দিবে আপনার প্রয়োজন অনুসারে VPS কনফিগারেশন। BestFxSVPS-এ আপনি পাবেন ৪ ধরনের Forex VPS প্যকেজ যার মধ্যে রয়েছে Platinum Package, Diamond Package, Crown Package এবং Legacy Package। Platinum Package –এর মূল্য ১৭.৯৯ ডলার যেখানে পাবেন ৩ জিবি র‌্যাম, ২ কোর CPU, ৬০ জিবি SSD। সাথে থাকছে আপনার অটো ট্রেডিংকে SMOOTH করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল টুলস। গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যসমূহ: ১. Forex VPS এর মূল্য তুলনামূলক অনেক কম, শুরু মাত্র ১৭.৯৯ ডলার থেকে। ২. VPS configuration তুলনামূলক অনেক ভালো পাবেন, ৩ জিবি র‌্যাম থেকে শুরু। ৩. SSD ডিস্ক পাবেন। ৪. MT4 Install করা থাকবে। ৫. MT4 Auto Startup টুল্স Activate করা থাকবে। ৬. Yearly Subscribe করলে থাকবে Massive Discount। ৭. Payment Option: Paypal, Neteller, Skrill, Perfect Money, Payeer, Crypto(Bitcoin, LiteCoin etc), Payza ৮. সার্ভার লোকেশন: USA, UK, Germany, France, Netherland। ওয়েবসাইট: www.bestfxvps.com ফরেক্স ট্রেডিংয়ের জন্য সেরা তিনটি VPS প্রোভাইডার।
এমন কি আছে যা শিখলে ফরেক্স মার্কেট আয়ত্তে আনা সম্ভব? আচ্ছা এমন কিছু কি আছে যা শিখলে ফরেক্স মার্কেটকে ভালোভাবে আয়ত্তে আনা সম্ভব হবে? এমন কিছু কি অসলেই আছে যা সঠিকভাবে শিখতে পারলে আমি বুঝতে পারব মার্কেটে কোথায় বাই এবং কোথায় সেল ট্রেড নিলে প্রফিট হবার সম্ভাবনা বেশি থাকবে? এ ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই নতুন ট্রেডাররা অনেক আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞাসা করে থাকেন। হুম অবশ্যই আছে, যার মাধ্যমে আপনি মার্কেটের গতিবিধি বুঝতে পারবেন এবং আপনার ট্রেড সম্পর্কে সঠিক একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারবেন। হুম, এটাই হল ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস এবং এর সিঠিক প্রয়োগ। বিশেষজ্ঞদের মতে ক্যান্ডেলস্টিক এনালাইসিস সঠিকভাবে জানতে এবং প্রয়োগ করতে পারলে ফরেক্স এবং স্টক মার্কেট এনালাইসিসের ৭০% জানা হয়ে যাবে। অনেকেই অনেক রকম ক্যান্ডেল প্যটার্ন সম্পর্কে জানেন কিন্তু এর সিঠিক প্রয়োগ খুব কম সংখ্যক ট্রেডারই জানেন। যা জানা সকল ট্রেডারদের জন্য অতীব জরুরী কেননা এই ক্যান্ডেলস্টিক প্যটার্ন এনালাইসেসর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন মার্কেট সেন্টিমেন্ট বা Investor Sentiment সম্পর্কে এবং সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারলেই পায়ে যাবেন অনেক কাঙ্ক্ষিত High Reliable Trade Set Up। আজকের আলোচনায় আমরা ক্যান্ডেলস্টিক প্যটার্ন এনালাইসেসর ৪টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ সম্পর্কে জানব যা আপনাকে এটার প্রযোজনীয়তা বুঝতে সাহায্য করবে। তাহলে শুরু করা যাক। যে চারটি করনে আপনার ক্যান্ডেলস্টিক শেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: মার্কেটের গতিবিধির পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া সম্ভব: নিচের চিত্রে আপনি যদি বার চার্ট(BAR CHART) এবং ক্যান্ডেলস্টিক (Candlesticks Chart) চার্ট লক্ষ করেন তাহলে ২টা চার্টের পাথ্যক্য বুঝতে পারবেন। প্রাইস একশান এনালাইসিস (Price Action Analysis) এবং মার্কেট প্রোবাবিলিটি (Probabilit) এনালাইসিসের ক্ষেত্রে বার চাট এর চেয়ে ক্যান্ডেল চার্ট অনেক সহজ এবং কার্যকরি একটি পদ্ধতি। তাছাড়া তুলনামূলক কম পরিশ্রম এবং Practice করেই ক্যান্ডেল চার্ট আয়ত্তে আনা সম্ভব। মার্কেট সাইকোলজি সাম্পর্কে সঠিক ধারনা পাওয়া যায়: ক্যান্ডেলস্টিক চার্টের মাধ্যমে আমারা খুব সহজ ভাবেই মার্কেটের যেকোন পরিবর্তন বুঝতে পারি এবং ট্রেডারদের সাইকোলজি জানতে পারি। নিচের চার্টে আমি ক্যান্ডেলস্টিকের ব্যসিক মার্কেট সেনটিমেন্ট (Sentiment) বোঝানোর চেষ্টা করেছি। মনে রাখতে হবে ক্যান্ডেল প্যাটার্নের গুরুত্বপূর্ন অংশ হলো CANDLE SHADOW বা PIN এবং এই শেডোই প্রকৃতপক্ষে মার্কেটে ট্রেডারদের বিভিন্ন সেন্টিমেন্ট প্রকাশ করে থাকে। যেগুলো সঠিকভাবে বিচার বিশ্লেষন করাই হলো প্রাইস একশন এনালাইসিস (Price Action Analysis)। পরবর্তিতে আমরা প্রাইস একশন ট্রেডিং স্ট্রেটেজি নিয়ে বিশদভাবে আলোচনা করব। ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট বোঝা তুলনামূলক অনেক সহজ: অনেক সহজেই ক্যান্ডেল চার্ট বোঝা যায় যেখানে visually দেখা যায় মার্কেটের ইন্টারনাল Supply & Demand এর অবস্থান। তবে ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট সাথে কিছু টেকনিক্যাল বিচার বিশ্লেষন করে নিলে অনেক ACCURATE সিগন্যাল পাওয়া যায় মার্কেট পরবর্তী মুভমেন্ট সম্পর্কে। প্রায় ২৫০ বছর ধরে পরিক্ষিত এবং ব্যবহৃত হয়ে আসছে: ক্যান্ডেল চার্ট ব্যবহার হয়ে আসছে পায় ২৫০ বছর ধরে। জাপানিজ এক চাল বিক্রেতা Homma Munehisa প্রথম এই চার্ট তৈরি এবং ব্যবহার করেন এবং ব্যপক সাফল্য পান। পরবর্তিতে এই চার্টের ব্যাপক প্রচলন হতে থাকে এবং বর্তমানে এই চার্টই স্টক এবং ফরেক্স মার্কেটের সবথেকে জনপ্রিয় চার্ট।
প্রায় ৮ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য নয় বরং নিজেকে একজন দক্ষ ট্রেডার হিসেবে তৈরি করাই হোক আপনার ট্রেডিংয়ের প্রধান লক্ষ। আমার এই উক্তিটি আপনার কাছে অদ্ভুত মনে হতে পারে বা আপনি আমার সাথে একমত নাও হতে পারেন কেননা দিন শেষে আমরা সবাই প্রফিটের জন্যই বিনিয়োগ করে থাকি। তবুও এই উক্তিটির সত্যতা এবং বাস্তবতা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। বিভিন্ন সময়ে ট্রেডারের এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে আমার বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়ে থাকে, যাদের অধিকাংশই এই মার্কেটে প্রথমে অংশগ্রহন করেছিলেন অধিক মুনফা লাভের আশায়। অনেকে আবার আমাকে বলেছে, “ভাইয়া আমি খুব অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্যে আছি, আমার জন্য কিছু একটা করেন বা এমন কোন ট্রেডিং স্ট্রেটেজি শেয়ার করেন যাতে আমি এই সেকটর থেকে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারি”। কথাগুলো শোনার পর নিজেকে খুব অসহায় লাগে কারন ট্রেডিং এমন একটা সেকটর যেখানে অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য বিনিয়োগ করতে গেলে সমস্যা হ্রাস পাবে না বরং বৃদ্ধি পেতে পারে। লস করার পর অনেকে আবার ভাগ্যের উপর দোষারোপ করতে শুরু করে দেয়। আমাদের একটা বিষয় বুঝতে হবে, ভাগ্য কিন্তু আপনার কর্মেরই প্রতিফলন। SCOT তার এক উক্তিতে বলেছেন “ভাগ্য বলে কিছুই নেই, প্রত্যেকের চেষ্টা ও যত্নের উপর তা গড়ে উঠে”। ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু এর বেতিক্রম নয়। আপনি যদি ফরেক্স মার্কেটের চার্ট দেখেন তাহলে মনে হতে পারে এখানে অসংখ্য ট্রেডিংয়ের সুযোগ রয়েছে এবং এই মার্কেট থেকে নিজের অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন করা খুব কঠিন কিছু হবে না। বিষয়টি আসলেই কিছু ট্রেডারদের কাছে সহজ কিন্তু অধিকাংশের ট্রেডারের কাছে নয়। এখন প্রশ্ন হল, নতুন ট্রেডার বা বিনিয়োগকারীরা ফরেক্স মার্কেটকে এমন কেন মনে করে থাকে? আসলে এমনটি মনে হবার পেছনে যে কারনগুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রধান কারণ হল ব্রোকার প্রদত্ত অধিক পরিমান লেভারেজ (Leverage) যা একজন স্বল্প বিনিয়োগকারিকে অধিক প্রফিট করার স্বপ্ন দেখায়। এটা সত্য যে ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে লেভারেজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু অধিক লেভারেজ আবার ধ্বংসেরও কারন হতে পারে। অধিক লেভারেজ থাকার করনে আপনি ব্রোকারগুলো থেকে খুব অল্প বিনিয়োগ করেই ট্রেড করার সুযোগ পাচ্ছেন যেমন মাত্র ১০ ডলার বিনিয়োগ করে ১:২০০০ লেভারেজ নিয়ে আপনি ট্রেড করতে পারেন যেখানে আপনার ১ ডালার হবে ২০০০ ডলারের সমান, তাহলে ১০ ডলার হচ্ছে ২০০০০ ডালারের সমান, মানে আপনি সর্বচ্চ ০.২০ লটে ট্রেড ওপেন করতে পারবেন। আপনি যদি একটা ট্রেড দেন ০.২ লটে এবং ট্রেডটি যদি ৫০ পিপস মুভ করে তাহলে আপনার প্রফিট হবে ১০০ ডলার। বিষয়টি কিছুটা অবাস্তব মনে হতে পারে কিন্তু এটাই ফরেক্সের ক্ষেত্রে চরম বাস্তবতা। এখন প্রশ্ন হল এটি কি ট্রেড হবে না Gambling? অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, যারাই ফরেক্স মার্কেটে অধিক মুনাফার লোভে বিনিয়োগ করেছে তারাই খারাপ অবস্থার সম্মুখিন হয়েছে। কিন্তু যারা প্রকৃত শেখার মানসিকতা নিয়ে এসেছে তরাই ভালো করেছে। এটা এমন একটা মার্কেট যেখানে ট্রেড শিখতে শিখতেই ভালো করা যায়। যদি মানসিকতা থাকে ভালো করার তাহলে প্রধান ফোকাস চলে যাবে ট্রেডিং দক্ষতা উন্নয়নের দিকে, প্রফিট করার দিকে নয়। যদি আপনি নিজের সাথে কমিটমেন্ট করেন এই সেকটরে ভালো করার এবং যদি Passionate থাকেন তাহলে MONEY এমনিতেই আপনার কাছে চলে আসবে। আপনি কত ডলার প্রফিট করলেন তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল সঠিক RISK REWARD মেনে নিয়ে কত পিপস প্রফিট করেছেন এটাই গুরুত্বপূর্ণ। একজন দক্ষ ফুটবল প্লেয়ার কখনই গোল এর দিকে ফোকাস করে না, বরং ফোকাস করে শুধু ভাল খেলার জন্য কারন সে জানে গোল তখনই হবে যখন সে প্রতিটা মুভ দক্ষতার সাথে করতে পারবে সুতরাং আসল দক্ষতার প্রকাশ ঘটে সেই প্রতিটা মুভের/ প্রতিটা পাচ মধ্যেই। লক্ষ নির্ধারন করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে, ট্রেডিংয়ের প্রথম বছর আপনার টার্গেট কি? কখনও কি নিজেকে প্রশ্ন করেছেন? কোন কোন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে চান? আপনার কাছে কি কোন সুর্দিষ্ট লিস্ট আছে? যদি না থাকে তাহলে আজই করে ফেলুন। সফল ট্রেডার হওয়া অনেক দিনের পরিশ্রম, সাধনা এবং বার বার চেষ্টার ফসল। আপনার এই সফলতার যাত্রা পথে FXSUCCESSBD সর্বদাই আপনার পাশে আছে।
দীর্ঘদিন ধরে ফরেক্স মার্কেটে সফলতার সাথে টিকে আছেন এমন কিছু ট্রেডারের কাছে যদি প্রশ্ন করা হয়, ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কোনটি? মনে হয় অধিকাংশ ট্রেডারই বলবে মানি ম্যানেজমেন্টরে (Money Management)কথা। এমনকি বিশ্বের সেরা সেরা ট্রেডিং কৌশলও বা স্ট্রেটেজি আপনাকে খুব বেশি সাহায্য করতে পারবে না যদিনা আপনার কাছে সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্রেটেজি থাকে। এই আর্টিকেলে আমরা ট্রেডিংয়ের মানি ম্যানেজমেন্ট উন্নয়নের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। ১. ট্রেড করার আগে প্রতি ট্রেডের রিস্ক সম্পর্কে জানুন (Before placing trade knows about Risk): আপনি প্রতি ট্রেডে সর্বোচ্চ কত ডলার লস করতে পারবেন? এটাকেই বলা হয় প্রতি ট্রেডের রিস্ক বা Risk Per Trade। খুব কম সংখ্যক ট্রেডারই আছেন যারা ট্রেড করার পূর্বে সম্ভাব্য লসের কথা বিবেচনায় আনেন। এটাই ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি যা পারে আপনার ট্রেডিং একাউন্ট জিরো হওয়া থেকে বাঁচাতে। অনেক ট্রেডার তার মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্রেটেজিতে প্রতি ট্রেডে সর্বচ্চ ২% বা তার কম রিস্ক নেওয়ার কথা বলে থাকেন। তবে নতুন ট্রেডারদের ক্ষেত্রে এই % যত কম হবে ততই ভাল। আপনার পজিশন সাইজের উপরই নির্ভর করে আপনার ট্রেডিং রিস্ক লেভেল। মনে করেন আপনার একাউন্টে ১০,০০০ ডলার ব্যালেন্স আছে এবং আপনি একটা নতুন ট্রেডের সুযোগ পেয়েছেন যেখানে আনুমানিক ৫০ পিপস রিস্ক নেওয়া নিরাপদ বলে আপনি মনে করেন, তাহলে ২% হিসাবে আপনার রিস্ক অংক হবে ২০০ ডলার এবং আপনার ট্রেডিং লট সাইজ হবে ০.৪ ($200 / 50 pips = $4)। আশাকরি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। ২. সর্বদাই স্টপ লস (Stop Loss) ব্যবহার করতে হবে (Always use stop loss): অধিকাংশ ট্রেডার স্টপ লস শুনলেই অনেকটা নেতিবাচক মনে করে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে StopLoss হল এমন একটা উপায় যার মাধ্যমে আপনি আপনার ট্রেডিংয়ের কোন অনাকাংখিত লস হওয়া থেকে ট্রেডিং একাউন্টকে নিরাপদ রাখতে পারেন। তবে এমন অনেক মার্কেটে কন্ডিশন আছে (Flash Crush, High Volatile Move) যখন স্টপলস অর্ডার কার্যকরী নাও হতে পারে তবে এমনটা খুব কমই হয়ে থাকে। ট্রেডিং স্ট্রেটেজি অনুসারে বিভিন্ন ধরনের স্টপলস রয়েছে যেমন Volatility stops, Chart Stops কিন্তু সর্বদাই টার্গেট বেজ স্টপলস ব্যবহার করা উত্তম, যা মার্কেট এনালাইসিস করে সাপোর্ট এবং রেজিটেন্সে দেওয়া হয়ে থাকে এবং এই এনালাইসিস এর জন্য ট্রেডাররা ট্রেন্ডলাইন(Trend Line), চ্যনেল(Channel), চার্ট প্যটার্ন (Chart Pattern)ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারে। কখনই স্টপলস অনুমানের উপর ভিত্তি করে বা পিপস এমাউন্ট এর উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিন নয়। ৩. রিস্ক এবং রিওয়ার্ড রেশিও বিবেচনায় আনতে হবে (Consider Reward-To-Risk Ratios of Trades): শুধু স্টপলস ব্যবহার করলে হবে না, সাথে সাথে সঠিক জায়গায় ট্রেড ক্লোজ করার দক্ষতাও থাকা প্রয়োজন। ভুল জায়গায় টেক প্রফিট(TP)দিলেও সামগ্রিক ট্রেডিংয়ের ফলাফল খারাপ হতে পারে। অন্যদিকে সঠিক জায়গায় স্টপলস দিলে তা ট্রেডিংয়ের সামগ্রিক ফলাফল অনেক ভালো করতে সক্ষম। সুতরাং শুধু স্টপ লস নয় বরং সঠিক টেক প্রফিটও সফল ট্রেডিংয়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। টেক প্রফিট লেভেলও আপনার ট্রেডের রিস্ক এবং রিওয়ার্ড রেশিও অনেকটা নির্ধারন করে থাকে যা খুব স্বাভাবিকভাবে ট্রেডের তুলনামূলক ঝুঁকির সাথে সম্ভাব্য প্রফিটের একটা তুলনা করে থাকে। রিস্ক এবং রিওয়ার্ড রেশিও যদি ১:১ থাকে তাহলে আপনি যে পরিমান প্রফিট আশা করবেন ঠিক সেই পরিমান ঝুকি নিতেও ইচ্ছুক। অনুরুপভাবে ২:১, ১:২ (Risk: Reward)নির্ধারন করে নিতে হবে। ৪. লেভারেজ সঠিকভাবে ব্যবহার (Use Leverage wisely): অনেক ট্রেডার ফরেক্স মার্কেটের উপর অনেক বেশি আকৃষ্ট হয় এবং মনে করে থাকে এখানে খুব অল্প বিনিয়োগ করেই অনেক প্রফিট করা সম্ভব কারন এই মার্কেটে ব্রোকারগুলো অনেক লেভারেজ (Leverage) অফার করে থাকে। যদিও এই মার্কেটে ভালো প্রফিট করতে গেলে লেভারেজ (Leverage)অনেক গুরূত্বপূর্ণ কিন্তু খুব বেশি লেভারেজ হতে পারে আপনার একাউন্টের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। সঠিক লেভারেজ ব্যবহার না করলে তা মানি ম্যনেজমেন্ট প্লানে প্রভাব ফেলতে পারে। আগেই বলা হয়েছে আপনার স্টপলস এর উপর ভিত্তি করে পজিশন সাইজ এবং লেভারেজ নির্ধারন করা উচিত যা পারে বড় ধরনের লস থেকে আপনাকে বাঁচাতে। ৫. ইমোশনের উপর ভিত্তি করে ট্রেড না দেওয়া (Don’t Trade Based on Emotions): নতুন ট্রেডারদের ট্রেডিংয়ের সবচেয়ে বড় ধরনের সমস্যার নাম হল Emotion। শুধুমাত্র ইমোশনের প্রভাবে ট্রেড করতে গিয়ে নতুন ট্রেডাররা প্রতিনিয়ত লস করে থাকে। বার বার স্টপলস মুভ করা, প্রফিটের ট্রেড হোল্ড না করা বরং লসের ট্রেড মাসের পর মাস ধরে রাখা, লস হলে তা মানতে না চাওয়া মেনে, মানি ম্যানেজমেন্ট রুলস হঠাৎ ব্রেক করা ফেলা, ওভার ট্রেড করা ইত্যাদি আরও অনেক কিছুই এই ইমোশনের প্রভাবে হয়ে থাকে। আপনার যদি নিজের এনালাইসিসের উপর Confidence থাকে তাহলে মার্কেটকে প্রমান করতে দিন যে আপনার এনালাইসিস সঠিক ছিল। মনে রাখতে হবে বার বার ইমোশনের প্রভাবে নিজের ট্রেডিং সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা সফল ট্রেডিংয়ের পথে অনেক বড় বাধা। উচিত হবে একটি STREGHT FORWARD এবং লিখিত ট্রেডিং প্লান অনুসরন করা যার ভিতরে থাকবে আপনার ট্রেডিং স্ট্রেটেজি এবং মানি ম্যানেজমেন্ট প্রিন্সিপাল। তাহলে আস্থে আস্থে ইমোশনাল ট্রেডিং অনেকাংশে হ্রাস পাবে। ৬. প্রতিদিনের ট্রেডিং জার্নাল অনুসরণ করতে হবে এবং প্রতিনীয়ত শিখার মানসিকতা রাখতে হবে (Keep a Trading Journal and Learn along the Way): সঠিকভাবে ট্রেডিং জার্নাল অনুসরণ করলে এই ট্রেডিং জার্নালই আপনাকে আপনার ট্রেডিংয়ের দূর্বলতাগুলো খুব সহজেই বুঝতে সাহায্য করবে। মানি ম্যানেজমেন্টের দূর্বলদিকগুলো চলে আসবে আপনার চোখের সামনে, ট্রেডিংয়ের ভূলগুলোকে এনালাইসিস করে সেগুলো সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া অনেক সহজ হবে। নিজের ট্রেডিং জার্নাল প্রতি সপ্তাহে, মাসে এবং ৩ মাস পর পর এনালাইসিস করতে হবে। নিজের ট্রেডিংয়ের উন্নয়ন নিজেকেই পরিলক্ষিত করতে হবে। এভাবেই একজন লুজারই পরিনত হয় একজন প্রফেশনাল ট্রেডার।
মানুষ অভ্যাসের দাস তাই তার পূর্বের অভ্যাস বা অবেগগুলোকে সে খুব সহজেই ঝেড়ে ফেলতে পারে না। ফরেক্স ট্রেডিংয়ে লসের অন্যতম কারন হল এই আবেগগুলো এবং এগুলোর মধ্যে রাজার আসল দখল করে আছে "লোভ বা Greed"। তাই অভ্যাসগতভাবে লোভ সংবরন করা অনেক কষ্টকর কিন্তু অসম্ভব নয়। এই আর্টিক্যেলের মাধ্যমে আমি চেষ্টা করব বিষয়টির খুঁটিনাটি দিক আলোচনা করার এবং বিভন্ন মনস্তাত্বিক বিষয় তুলে ধরার মাধ্যমে লোভ সংবরন করার উপায় আলোচনা করব। প্রথমে জেনে নেওয়া যাক মানুষ কেন ফরেক্স ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে লোভের কবলে পাড়ে? যেহেতু এই সেকটরে প্রফিট করার লিমিটেশন বা গন্ডি নেই তাই আমাদের মাঝে লোভ কাজ করাটা স্বভাবিক একটা বিষয়। বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে দিনে সর্বচ্চ ১০% প্রফিট করা সম্ভব কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে এমন কোন বিধিনিষেধ নেই। এখানে আপনি একদিনে একাউন্টের ১০০ গুনও করতে পারবেন যদি সুযোগ পান। তাই লোভ একটু বেশি কাজ করে থাকে। ট্রেডিংয়ের সঠিক নিয়ম কানুন এবং মানি ম্যানেজমেন্টের সঠিক কৌশল না জানার কারনে ট্রেডাররা লোভের সম্মুখিন হয়ে থাকে। যেমন মানি ম্যানেজমেন্টের নিয়ম বলতে প্রতি ট্রেডে সর্বচ্চ ২% রিস্ক নেওয়া উচিত এবং এর বেশি হলে একাউন্টের উপর প্রভাব পড়তে পারে কিন্তু আপনি এটি না জানার করনে বেশি রিস্ক নিলেন এবং আপানার একাউন্ট ঝুঁকির মুখে পড়ল। এটা হল মূলত সঠিক নিয়ম কানুন না জানার কারণে। অনুশোচনা করা আরও একটি কারন যার ফলে ট্রেডাররা হতাশ হয়ে পড়ে এবং নিজের ভুলের উপর বার বার আঙ্গুল তুলে এবং ভিতরে ভিতরে পুড়তে থাকে। অনেক সময় ট্রেডাররা ট্রেড ক্লোজ করার পরও অনুশোচনা করে। ইশ্ ট্রেডটা যদি এখনও ওপেন থাকত তাহলে আরও ১০০ ডলার বেশি প্রফিট হতো। আসলে এই ধরনের মানসিকতাও লোভের জন্ম দিয়ে থাকে। এক বন্ধু তার বন্ধুকে বলতেছে দোস্ত আমি আজকে ১০০০ ডলার প্রফিট করলাম, তুই কত করলি? বন্ধু উত্তরে বলতেছে কি আর বলব দোস্ত আমিতো এতো প্রফিট করতে পরি নাই। তখন বন্ধু হালকা হিট দিয়ে বলল , কি য়ে করিস আমার মনে হয় তোকে দিয়ে ট্রেড হবে না। অন্যদিকে বন্ধু বাড়িতে এসে মন খারাপ করে বসে আছে আর নিজে নিজে ভাবতেছে, আমাকে দিয়ে কি আসলেই ট্রেড হবে না।তখন যে আরও বেশি রিস্ক নিয়ে ট্রেড করার চেষ্টা করে এবং লস করে ফেলে। এভাবে একে অন্যের সাথে প্রতিযোগিতার করণেও মানুষের মধ্যে লোভ জন্ম হয়ে থাকে। অনেক নতুন ট্রেডার আছে যারা অনেক সময় আন্দাজে ট্রেড দিয়ে খুব ভালো প্রফিট করে ফেলে এবং মনে করতে থাকে বার বার তা করতে পারবে। এটাও লোভের জন্ম দিয়ে থাকে। অধিক সময় ট্রেডিং চার্ট দেখতে থাকলেও অনেক সময় ট্রেড বেশি নিতে ইচ্ছা করে এবং ওভার ট্রেড হতে পারে। এই ওভার ট্রেড লোভের আরও একটা বড় করণ। যেভাবে আমরা লোভকে সংবরন করতে পারব: আগে আমরা জেনেছি আমাদের ফরেক্স ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে লোভ কাজ করার কারনগুলো সম্পর্কে। এখন আমারা জনব যে কিভাবে আমরা এই লোভ নিয়ন্ত্রন করতে পারি। যেসব কারণগুলো আমাদের মধ্যে লোভ সৃষ্টি করতে পারে সেই করনগুলো সম্পর্কে আমাদের সঠিক এবং পর্যাপ্ত ধারণা থাকতে হবে। এর ফরে আমার সঠিক পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারব। সঠিক নিয়মে ট্রেড করতে হবে এবং রিস্কলেভেলকে এবং মানি ম্যনেজমেন্টকে সঠিক নিয়মে ফলো করতে হবে। লস করার পরে নয় বরং লস করার আগে সতর্কতার সাথে ট্রেড করতে হবে এবং নিজের সাথে নিজের Commitment ঠিক রাখতে হবে। লাইভ মার্কেটে ট্রেড করার আগে সঠিকভাবে ট্রেড শিখে নিন।বলার অপেক্ষা রাখে না যে এটা অনেক বড় একটা সেকটর যার উপর ৪ বছরে Graduation আছে এবং ২ বছরের Master Degree আছে।তাই দু্‌ই দিন ডেমো ট্রেড করে লাইভ মার্কেটে ট্রেড করা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়।ফরেক্সের ঝুঁকির দিকগুলোকে জানতে হবে, বুঝতে হবে যেসব ভুলের কারনে তিল তিল করে গড়ে তোলা ট্রেডিং ক্যরিয়ার ঝুকির মধ্যে পড়তে পারে। ট্রেডিংকে একমাত্র ইনকাম সোর্স না নিয়ে বরং পার্ট-টাইম নেওয়া উচিত। যত বেশি প্রফিট করতে চাইবেন ততো বেশি লোভ তৈরি হবে। সুতরাং যতদিন পর্যন্ত প্রফেশনাল বা প্রো লেভেল ট্রেডার হচ্ছেন ততো দিন পর্যন্ত ফুলটাইম ট্রেড করা থেকে বিরত থাকুন। নিজেকে ডিসিপ্লিনের মধ্যে রাখতে হবে। নিয়মের মধ্যে ট্রেড দিতে হবে এবং ক্লোজ করতে হবে। ট্রেড নিয়ে অনুশোচনা করা যাবে না। ট্রেড ভুল হবে না এটা চিন্তা করাও একটা ভুল সুতরাং ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। অন্যরা কি করল, কতো ডলার প্রফিট করল এগুলো দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে। অন্যের এনালাইসিস দেখে ট্রেড নেওয়া যাবে না তবে অন্যের এনালাইসিসি দেখে নিজের এনালাইসিস মিল করে যদি মনে হয় ট্রেড নেওয়া যায় তাহলে ট্রেড নেওয়া যেতে পারে। বাস্তববাদি চিন্তা করতে হবে, নিজেকে দ্রুত বড়লোক করার চেষ্টা করা থেকে বিরত রাখতে হবে। বছরের সব মাসেই সমান প্রফিট হবে না বা মার্কেট সমান থাকবে না। তাই নিজেকে বাস্তব চিন্তা করতে হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। মোটিভেশনাল বই পড়তে হবে প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ পেজ করে বিশেষ করে যখন মন খারাপ লাগবে তখন। বই গুলোর মধ্যে বিশেষ করে You can win, The power of your subconscious Mind, Think and Grow Rich ইত্যাদি।