loading

FOREX BASIC COURSE

ট্রেডে ইমোশন ম্যনেজ করার ১০টি কার্যকরী উপায়

  • 5.0 (7 reviews)
  • PUBLISH BY: FxsuccessBD
  • December 23rd, 2019 04:38 am

কথাটি অপ্রিয় হলেও সত্য যে, ট্রেডিংয়ে সফলতার ক্ষেত্রে আমাদের আর্থিক মূলধন সংরক্ষণ করার চেয়ে আবেগ বা মানসিক মূলধন সংরক্ষণ করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যে ট্রেডার তার মানসিক মূলধন হারিয়ে ফেলে তার পক্ষে ট্রেডিং অ্যাকাউন্টটি উড়িয়ে দেওয়া অস্বাভাবিক কোন বিষয় নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত লসের সম্মুখীন হয়ে সে সম্পূর্ণ ট্রেডিংও বন্ধ করে দিতে পারে, কারণ সে তার আবেগ সঠিকভাবে আর পরিচালনা করতে পারে না এবং আরও খারাপ অবস্থার দিকে দিন দিন পতিত হতে থাকে।

যখন ট্রেডার ট্রেডিংয়ে বার বার ভুল করে তখন সে আস্তে আস্তে তার মানসিক মূলধন হারিয়ে ফেলতে থাকে। এটা সাধারণত ধীরে ধীরে শুরু হয় কিন্তু যখন লস বাড়তে থাকে তখন অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিশেষে ট্রেডিং সাইকোলজি বা মানসিক মূলধন সম্পূর্ণরুপে গ্রাস করে ফেলে।

ট্রেডার যখন একটি ট্রেডে লস করে তখন চেষ্টা করে নতুন একটা ট্রেড দিয়ে পূর্বের লস পুষিয়ে নিতে যা কিনা ট্রেডারদের আরও বিপদের দিকে ধাবিত করে। ১০০ ডলার লস রিকাভার করতে গিয়ে ৫০০ ডলার ড্রডাউন (DrawDown) হয়ে যায় এবং চরম মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে যায়। এই ধরনের অবস্থা ট্রেডারদের সফলতার পথ থেকে বিচ্যুত করে থাকে।

ট্রেড করার পূর্বে আমরা সাধারনত মার্কেট এনালাইসিস বা চার্ট পর্যালোচনা করে থাকি কিন্তু সফল এবং প্রফেশনাল ট্রেডাররা মার্কেট এনালাইসিস করার পূর্বে তাদের মানসিক অবস্থা নিরীক্ষণ করে থাকেন। কেননা প্রফেশনাল ট্রেডাররা জানেন ট্রেডিং সাইকলজি হল সফল ট্রেডিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ এবং ট্রেডিংয়ে সফলতার ৯৯% নির্ভর করে এই ট্রেডিং সাইকোলজি বা মানসিক মুলধনের উপর। এই অংশে আমরা ট্রেডারদের ট্রেডিং সাইকোলজি উন্নয়নের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নিয়ে আলোচনা করব। আমি বিশ্বাস করি আপনি যদি বিষয়গুলো সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারেন এবং প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে একজন সফল ট্রেডার হওয়া আপনার কছে শুধুমাত্র সময়ের ব্যপার।

১. শারীরিক কার্যকলাপে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করুন (Engage in physical activity):

বলার অপেক্ষা রাখে না, সঠিক মানসিক উন্নয়ন ঘটলেই সম্ভব ট্রেডিংয়ের উন্নয়ন। আমি যতগুলো ধাপ নিযে আলোচনা করব তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি এই ধাপটিতে গুরুত্ব প্রদান করছি। আপনার শরীর এবং মনের সুস্থতাই পারে যেকোন বিষয়ে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে আর ট্রেডিংতো ৯৯% ট্রেডিং সাইকোলজির উপর নির্ভরশীল।

ট্রেড করতে গেলে কিছু ট্রেডে লস হবে এটাই স্বাভাবিক ঘটনা কিন্তু এই লস যদি আপনার মানসিক মুলধন হারাবার কারন হয় উঠে তাহলে সেটা নিঃসন্দেহে অস্বাভাবিক। ট্রেডিংয়ে যখন ভুল হবে বা লস হবে তখন উচিত নিজেকে ট্রেডিং প্লাটফর্ম থেকে দুরে নিয়ে যাওয়া এবং কেননা কোন PHYSICAL ACTIVITY তে নিজেকে ব্যস্ত রাখা। যা আপনার মানসিক অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য খুবই কার্যকরি একটা পন্থা। আপনি বিভিন্ন মটিভেশনাল বই পড়তে পারেন, যেমন, You Can Win, Rich Dad Poor Dad, The power of Positive Thinking, Think and Grow Rich ইত্যাদি। আপনি Meditation করতে পারেন, কিছুটা হাটাহাটি করাও যেতে পারে অথবা নিজের প্রিয় গানগুলো একটু শুনে নিতে পারেন।

আমার ক্ষেত্রে, সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠে Morning Prayer শেষে কিছুটা সময় সারাদিনের পরিকল্পনা করে তারপর ৭টায় GYM-এ যাই এবং প্রায় ১.৫ ঘন্টা Exercise করি এবং ১০টায় অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকা। Physical Exercise আমাদের শারিরিক সুন্থতা প্রদানের পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তিও প্রদান করে থাকে। নিজের চিন্তাশক্তিকেও করে সুদূরপ্রসারী। এই পন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে আপনি আপনার ট্রেডিং সাইকোলজির ব্যপক উন্নয়নসাধন করতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

২. এনালাইসিস চার্ট এবং ট্রেডিং চার্ট আলাদা করুন (Separate Analysis chart from execution platform):

 সঠিক ট্রেড করতে গেলে সঠিক এনালাইসেসের কোন বিকল্প নেই। প্রফেশনাল ট্রেডাররা মনে করেন এনালাইসিস করার চার্ট এবং ট্রেডিং চার্ট আলাদা রাখা, ট্রেডিং সাইকোলজি ঠিক রাখার আরও একটি পন্থা। মার্কেট এনালাইসিস করার জন্য আপনি TradingView চার্ট ব্যবহার করতে পারেন অথবা এমন একটা ব্রোকারের চার্ট ব্যবহার করতে পারেন যেখানে আপনি ট্রেড করনে না। মার্কেট সঠিকভাবে এনালাইসিস করার পর যখন আপনি কোন VALID ENTRY পাবেন তখন আপনার ট্রেডিং চার্ট ওপেন করে Trade Execute করবেন।

এটি শুনতে অনেক সহজ মনে হতে পারে কিন্তু এটার রয়েছে অনেক সাইকোলজিক্যাল BENEFIT। এর ফলে মন চাইলেই বা হাত চুলকালেই ট্রেড দিতে পারবেন না এবং আপনার ওপেন ট্রেড বার বার দেখা থেকেও নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন।এই বিষয়গুলোর রয়েছে অনেক Psychological Advantage যা আস্তে আস্তে একজন ট্রেডার উপলব্ধি করতে পারে।

৩. মার্কেট এনালাইসিস হাইয়ার টাইমফ্রেমে করতে হবে (Move to Higher Timeframe for Market Analysis):

অনেক ট্রেডার আছেন যারা লোয়ার টাইমফ্রেমে ট্রেড করতে পছন্দ করেন যেটা ট্রেডিংয়ে সফলতার পথে বড় ধরনের একটা বাধা। দৃশ্যপট কখনই পরিষ্কার হবে না যদি আপনি বিষয়টিকে স্বল্পপরিসরে বিচার বিশ্লেষন করেন তাই একজন ট্রেডারের উচিত হাইয়ার টাইমফ্রেমে মার্কেট বা চার্ট এনালাইসিস করে লংটার্ম মার্কেটের গতিবিধি পর্যালোচনা করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া। লংটার্ম ট্রেড করা ট্রেডিং সাইকোলজি ডেভলপমেন্টের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় যা ট্রেডারদের আবেগপ্রবন হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে হ্রাস করে থাকে। তাছাড়া লোয়ার টাইমফ্রেমে ট্রেড করলে মার্কেটে অনেক ফেক মুভমেন্টের শিকার হতে হয় যা কিনা নতুন ট্রেডারদের অনেক সময় বিভ্রান্ত করে থাকে।

 

৪. শুধুমাত্র রানিং ক্যান্ডেল নয় বরং ক্লোজ ক্যান্ডেলের দিকে লক্ষ করুন (Focus on Candle Close not running candle): 

শুধুমাত্র রানিং ক্যান্ডেল এর দিকে লক্ষ করে ট্রেড নেওয়া চরম বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয় কারন রানিং ক্যান্ডেল কখনোই মার্কেটের সঠিক গতিবিধি প্রকাশ করতে পারে না বরং অনেক সময় মার্কেটে ফেক ক্যান্ডেল তৈরি হতে দেখা যায় যা ট্রেডারদের ভূল ট্রেডিং করতে এবং লস করতে বাধ্য করে থাকে। সাপোর্ট এবং রেজিস্টেন্স ব্রেক করার ক্ষেত্রে ক্যান্ডেল ক্লোজের দিকে লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ।

৫. সাধ্যের অতিরিক্ত রিস্ক নেওয়া থেকে বিরত থাকুন (Never take risk that you can’t afford):

কোন ট্রেড দেবার পূর্বে আগে রিস্ক বিচার বিশ্লেষন করা গুরুত্বপূর্ণ।যেসকল ট্রেডার ট্রেড করার পূর্বে সম্ভাব্য লসের কথা চিন্তা করে, তাদের আবেগপ্রবণ হয়ে ট্রেড করার প্রবনতা অনেকাংশে হ্রাস পায়। অধিক লেভারেজ নিয়ে ট্রেড করা এবং অবিবেচনাপ্রসূত অধিক লটসাইজ ব্যবহার ট্রেডারদের মানসিক মূলধন নষ্ট হরার জন্য আরও একটি করণ।

সফল ট্রেডারদের মতে প্রতি ট্রেডে ১, ২% এর বেশি রিস্ক নেওয়া উচিত নয়। এই নিয়মে রিক্স ম্যনেজমেন্ট করলে অতিরিক্ত রিক্স নেওয়ার প্রবনতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

. স্টপলস কে সম্মান করুন (Honor your StopLoss):

যখন প্রথম ট্রেড শুরু করেছিলাম তখন আমি স্টপলস ব্যবহার করতাম অনেক দূরে এবং যখন প্রাইস লেভেল স্টপলসের কাছাকাছি আসত তখন স্টপলসকে(StopLoss)মুভ করিয়ে আরও দূরে সরিয়ে দিতাম। এই ধরনের কার্যকলাপ আসলে মার্কেটে বড়ধরনের লসের সম্ভাবনা সৃষ্টি করে থাকে যা লংটার্ম ট্রেডিংয়ে টিকে থাকার জন্য অনেক বড় বাধা। এই একই ধরনের ভুল ট্রেডাররা বার বার করে থাকে এবং ভূল হবার পর নিজেকে অনেক অপরাধী ভাবতে থাকে যা আস্তে আস্তে ট্রেডিং সাইকোলজি নষ্ট করে ফেলে।

নিজেকে যদি এই ভুল থেকে দূরে রাখা যায় তাহলে এটাই হতে পারে ট্রেডিং কেরিয়ারের সবথেকে বড় GAME CHANGE, এ বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে এই ভূলটি ট্রেডাররা খুব সহজে পরিত্যাগ করতে পারে না বরং একই ভূল বার বার করতে থাকে যা তার ট্রেডিং একাউন্ট নষ্ট করার পাশাপাশি ট্রেডিং সাইকোলজিও নষ্ট করে দেয়।

স্টপলস আসলে ট্রেডারদেরকে লস করায় না বরং বেশি লস হবার থেকে রক্ষা করে যা অনেকে একটু দেরিতে হলেও বুঝতে পারে। প্রফেশনাল ট্রেডারদের সবথেকে প্রধান গুন হলো তারা STOPLOSS কে সম্মান করে এবং নিজের এনালাইসিসের উপর বিশ্বাস করে ট্রেড কর থাকে। মনে রাখতে হবে ট্রেডিংয়ে সফলতা মানে এই নয় যে আপনার সব ট্রেড TAKE PROFIT-এ যাবে বরং ট্রেডিং সফলতা মানে হল সম্ভাব্য লসকে হ্রাস করার মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রফিটেবল ট্রেড গুলোকে মার্কেটে CARRY করা।

৭. ট্রেডের জন্য অলস মূলধন ব্যবহার করুন (Use Lazy fund for Trading):

ট্রেডিংয়ের জন্য মূলধন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং এই মূলধনের ধরণ অবশ্যই হতে হবে speculative। আমি অনেককেই দেখেছি যারা রিটায়ারমেন্টের টাকা কিংবা ছেলে মেয়ের টিউশনের টাকাও ট্রেডিংয়ে বিনিয়োগ করে থাকেন যা Undoubtedly ট্রেডারের ট্রেডিং মানসিকতাকে অনেক পরিবর্তন করে দেয় এবং ছোট খাট লস হলেই ট্রেডিং সাইকোলজিকে সম্পূর্ণরুপে নিয়ন্ত্রনের বাইরে নিয়ে যায়।

ট্রেড করতে গেলে লস হতেই পারে কিন্তু আপনি যখন আপনার একটিভ(Active) মূলধন ট্রেডে বিনিয়োগ করবেন তখন একবার লস হলে তা রিকভার করা প্রায়ই অসম্ভব হয়ে পড়ে। অনেকের কাছে বিষয়টি অনেক সহজ মনে হতে পারে কিন্তু সততার সাথে নিজেকে প্রশ্ন করলে এবং চিন্তা করে দেখবেন আপনার অনেক কষ্টে অর্জিত টাকা যখন লস হবে তখন আপনি অনেক উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন এবং চাইবেন খুব অল্প সময়ে আপনার লস হওয়া টাকা রিকভার করতে যা  আপনার ট্রেডিং সাইকোলজিকে অনেক নেতিবাচক প্রভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

সফল ট্রেডাররা মনে করেন, ট্রেডেংয়ের মূলধন নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই Lazy Fund এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা মাথায় রেখে করা উচিত। এর ফলে ট্রেড করার সময় ট্রেডারের মানসিকতা এবং ট্রেডিং Discipline এর উপর নেতিবাচক প্রভাব অনেকাংশে হ্রাস পায়।  

 

 . ট্রেডের জন্য সঠিক মার্কেট নির্বাচন করা (Selecting perfect Market for placing trade):

কখন ট্রেড করতে হবে এবং কখন শুধুমাত্র মার্কেট পর্যবেক্ষন(Observation) করতে হবে, কখন মার্কেটে False মুভমেন্ট হতে পারে, কখন মার্কেট HIGH VOLATILE থাকতে পারে, কখন মার্কেটে Gambler প্রবেশ করে ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারনা রাখা ট্রেডারদের জন্য অতীব জরুরী একটি বিষয়। অনেকসময় দেখা যায় মার্কেটে প্রাইস একশন প্যাটার্ন তৈরি হয়েছে কিন্তু প্যাটার্ন অনুযায়ী মার্কেট মুভ করে নাই,, এনালাইসিস ঠিক আছে কিন্তু Expected রেজাল্ট পেতে দেরি হচ্ছে,, মার্কেটে সাপোর্ট রেজিস্ট্যান্স ব্রেকআউট হয়েছিল কিন্তু আবার পূর্বের জায়গায় চলে এসেছে। আসলে এরকমটা কেন হচ্ছে বলে আপনার মনে হয়?

আপনার ট্রেডিং স্ট্রাটেজি কখন কাজ করবে এবং কখন মার্কেটে এন্ট্রি নিলে দ্রুত রেজাল্ট পাওয়া যাবে এই সকল বিষয় সম্পর্কে কি আপনার সঠিক ধারনা আছে? না সর্বদাই স্রষ্টাকে দোষারোপ করতে থাকেন আর বলতে থাকেন… আমার সাথেই কেন এরকম হয়,,আমি বাই দিলে মার্কেট কেন সেলে যায়?

আমি সাধারণত লন্ডন সেশনে ট্রেড করে থাকি এবং আমার ট্রেডিং স্ট্রাটেজি লন্ডন সেশনেই অপেক্ষকৃত ভাল কাজ করে। অমি অন্যান্য সেশনগুলোতেও আমার ট্রেডিং স্ট্রেটেজি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেছি কিন্তু আশানুযায়ী ফল পাইনি। কিন্তু কারন কি?

আপনার ট্রেডিং স্ট্রাটেজির উপর ভিত্তি করে আপনাকে ট্রেডিংয়ের সময় নির্ধারন করতে হবে। আপনি যদি GBP ভিত্তিক কারেন্সিগুলোতে ট্রেড করেন তাহলে আপনার অবশ্যই লন্ডন সেশন বেছে নেওয়া উত্তম। অনুরূপভাবে USD নির্ভর কারেন্সি পেয়ারগুলোতে ট্রেড করলে NY সেশন বেছে নিতে হবে। অযথা রিস্ক না নিতে চাইলে হাই ভোলাটাইল নিউজ ইভেন্টগুলো এড়িয়ে যাওয়া উত্তম। SCALPING করতে চাইলে TOKYO সেশনও বেছে নিতে পারেন এবং যারা একটু ভোলাটাইল মার্কেট চান তারা ওভারল্যপিং সেশনকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন। ঠিক এরকম ভাবেই আপনর ট্রেডিং স্ট্রাটেজির উপর ভিত্তি করে আপনাকে সঠিক মার্কেট নির্বাচন করে ট্রেড করতে হবে।

আসলে অনেক বিষয়ের উপর ভিত্তি করেই মার্কেট নির্বাচন করতে হয় যেগুলো সম্পর্কে আমারা পরবর্তীতে আলোচনা করব।

 

. ট্রেডিং ডায়েরি অনুসরণ করুন এবং প্রতিমাসে পারফরমেন্স পর্যালোচনা করুণ (Maintain Trading Journal and Review Performance on Monthly Basis):

সফল ট্রেডার হওয়া অনেক দীর্ঘ একটা যাত্রা। এই যাত্রা পথে আপনাকে সর্বদাই প্রন্তুত থাকতে হবে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য এবং এই প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আপনার প্রধান অস্ত্র হবে ডিসিপ্লিনভাবে(Discipline) ট্রেড করা এবং ট্রেডিং ডায়েরি মেনে চলা। ট্রেডিং ডায়েরিতে আপনি যখন আপনার ট্রেডিং ACTIVITIES লিখে রাখবেন এবং ভুলগুলো খুজে খুজে বের করবেন তখন এই ট্রেডিং ডায়েরিই আপনাকে একজন Discipline ট্রেডার হতে সাহায্য করবে। এছাড়াও প্রতিমাসে একটা পারফরমেন্স রিপোর্ট তৈরি করতে হবে এবং নিজের ট্রেডিংয়ের উন্নয়ন নিজেকে অনুধাবন করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

১০. লস হবার পর ঝুঁকিপূর্ণ ট্রেড করা থেকে বিরত থাকা( Avoid Risky Trade During bad trading period):

প্রায় সময় দেখা যায় যখন ট্রেডাররা লস করে তখন ঝুকিপূর্ণ ট্রেড করে পূর্বের লস রিকভার করার চেষ্টা করে এবং পরবর্তিতে আরও বড় ধরনের লসের সম্মুখীন হয়। ট্রেডারের উচিত লস হবার পর ট্রেড না করা অথবা খুব অল্প ঝুকি নিয়ে ট্রেড করে আস্তে আস্তে লস রিকভার করা। মনে রাখতে হবে, ট্রেডিংয়ে লস করার ৯০% কারন থাকে ট্রেডিং সাইকোলজি। আর ট্রেডার যখন লস করে তখন ট্রেডিং সাইকোলজি সঠিকভাবে কাজ করে না বরং আরও বড় লসের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। তাই উচিত নিজেকে শান্ত করে সকল প্রকার আবেগের উদ্ধে গিয়ে যুক্তিযুক্তভাবে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া।

 

Recent Article
loading
Broker Section