loading

FOREX BASIC COURSE

মানি ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ধাপসমূহ

  • 5.0 (7 reviews)
  • PUBLISH BY: FxsuccessBD
  • December 22nd, 2019 11:06 pm

মানি ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ধাপসমূহ:

দীর্ঘদিন ধরে ফরেক্স মার্কেটে সফলতার সাথে টিকে আছেন এমন কিছু ট্রেডারদের কাছে যদি প্রশ্ন করা হয়, ট্রেডিংয়ে সফলতার ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কোনটি? আমার মনে হয় অধিকাংশ ট্রেডারই বলবে মানি ম্যানেজমেন্ট এর(Money Management) কথা। এমনকি বিশ্বের সেরা সেরা ট্রেডিং কৌশলও আপনাকে খুব বেশি সাহায্য করতে পারবে না যদিনা আপনার কাছে সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজি থাকে। এই আর্টিকেলে আমরা ট্রেডিংয়ের মানি ম্যানেজমেন্ট উন্নয়নের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ নিয়ে আলোচনা করব।

. ট্রেড করার আগে প্রতি ট্রেডের রিস্ক সম্পর্কে জানুন (Before placing trade knows about Risk):

আপনি প্রতি ট্রেডে সর্বোচ্চ কত ডলার লস করতে পারবেন? এটাকেই বলা হয় প্রতি ট্রেডের রিস্ক বা Risk Per Trade। খুব কম সংখ্যক ট্রেডারই আছেন যারা ট্রেড করার পূর্বে সম্ভাব্য লসের কথা বিবেচনায় আনেন। এটাই ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি যা পারে আপনার ট্রেডিং একাউন্ট জিরো হওয়া থেকে বাঁচাতে। অনেক ট্রেডার তার মানি ম্যানেজমেন্ট স্ট্রাটেজিতে প্রতি ট্রেডে সর্বচ্চ ২% বা তার কম রিস্ক নেওয়ার কথা বলে থাকেন। তবে নতুন ট্রেডারদের ক্ষেত্রে এই % যত কম হবে ততই ভাল।

আপনার পজিশন সাইজের উপরই নির্ভর করে আপনার ট্রেডিং রিস্ক লেভেল। মনে করেন আপনার একাউন্টে ১০,০০০ ডলার ব্যালেন্স আছে এবং আপনি একটা নতুন ট্রেডের সুযোগ পেয়েছেন যেখানে আনুমানিক ৫০ পিপস রিস্ক নেওয়া নিরাপদ বলে আপনি মনে করেন, তাহলে ২% হিসাবে আপনার রিস্ক অংক হবে ২০০ ডলার এবং আপনার ট্রেডিং লট সাইজ হবে ০.৪ ($200 / 50 pips = $4)। আশাকরি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

২. সর্বদাই স্টপ লস (Stop Loss) ব্যবহার করতে হবে  (Always use stop loss):

অধিকাংশ ট্রেডার স্টপ লস শুনলেই অনেকটা নেতিবাচক মনে করে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে StopLoss হল এমন একটা উপায় যার মাধ্যমে আপনি আপনার ট্রেডিংয়ের কোন অনাকাঙ্ক্ষিত লস হওয়া থেকে ট্রেডিং একাউন্টকে নিরাপদ রাখতে পারেন। তবে এমন অনেক মার্কেটে কন্ডিশন আছে (Flash Crush, High Volatile Move) যখন স্টপলস অর্ডার কার্যকরী নাও হতে পারে তবে এমনটা খুব কমই হয়ে থাকে।

ট্রেডিং স্ট্রাটেজি অনুসারে বিভিন্ন ধরনের স্টপলস রয়েছে যেমন Volatility stops, Chart Stops কিন্তু সর্বদাই টার্গেট বেজ স্টপলস ব্যবহার করা উত্তম, যা মার্কেট এনালাইসিস করে সাপোর্ট এবং রেজিস্টেন্স দেওয়া হয়ে থাকে এবং এই এনালাইসিস এর জন্য ট্রেডাররা ট্রেন্ডলাইন (Trend Line), চ্যানেল (Channel), চার্ট প্যাটার্ন (Chart Pattern)ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারে। কখনই স্টপলস অনুমানের উপর ভিত্তি করে বা পিপস এমাউন্টের উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত নয়।

৩. রিস্ক এবং রিওয়ার্ড রেশিও বিবেচনায় আনতে হবে (Consider Reward-To-Risk Ratios of Trades):

শুধু স্টপলস ব্যবহার করলে হবে না, সাথে সাথে সঠিক জায়গায় ট্রেড ক্লোজ করার দক্ষতাও থাকা প্রয়োজন। ভুল জায়গায় টেক প্রফিট(TP)দিলেও সামগ্রিক ট্রেডিংয়ের ফলাফল খারাপ হতে পারে। অন্যদিকে সঠিক জায়গায় স্টপলস দিলে তা ট্রেডিংয়ের সামগ্রিক ফলাফল অনেক ভালো করতে সক্ষম। সুতরাং শুধু স্টপ লস নয় বরং সঠিক টেক প্রফিটও সফল ট্রেডিংয়ের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

টেক প্রফিট লেভেলও আপনার ট্রেডের রিস্ক এবং রিওয়ার্ড রেশিও অনেকটা নির্ধারন করে থাকে যা খুব স্বাভাবিকভাবে ট্রেডের তুলনামূলক ঝুঁকির সাথে সম্ভাব্য প্রফিটের একটা তুলনা করে থাকে। রিস্ক এবং রিওয়ার্ড রেশিও যদি ১:১ থাকে তাহলে আপনি যে পরিমান প্রফিট আশা করবেন ঠিক সেই পরিমান ঝুকি নিতেও ইচ্ছুক। অনুরুপভাবে ২:১, ১:২ (Risk: Reward)নির্ধারন করে নিতে হবে।

৪. লেভারেজ সঠিকভাবে ব্যবহার (Use Leverage wisely):

অনেক ট্রেডার ফরেক্স মার্কেটের উপর অনেক বেশি আকৃষ্ট হয় এবং মনে করে থাকে এখানে খুব অল্প বিনিয়োগ করেই অনেক প্রফিট করা সম্ভব কারন এই মার্কেটে ব্রোকারগুলো অনেক লেভারেজ (Leverage) অফার করে থাকে। যদিও এই মার্কেটে ভালো প্রফিট করতে গেলে লেভারেজ (Leverage)অনেক গুরূত্বপূর্ণ কিন্তু খুব বেশি লেভারেজ হতে পারে আপনার একাউন্টের জন্য অনেক বেশি  ক্ষতিকর। সঠিক লেভারেজ ব্যবহার না করলে তা মানি ম্যনেজমেন্ট প্লানে প্রভাব ফেলতে পারে।

আগেই বলা হয়েছে আপনার স্টপলস এর উপর ভিত্তি করে পজিশন সাইজ এবং লেভারেজ নির্ধারন করা উচিত যা পারে বড় ধরনের লস থেকে আপনাকে বাঁচাতে।

৫. ইমোশনের উপর ভিত্তি করে ট্রেড না দেওয়া (Don’t Trade Based on Emotions):

নতুন ট্রেডারদের ট্রেডিংয়ের সবচেয়ে বড় ধরনের সমস্যার নাম হল Emotion। শুধুমাত্র ইমোশনের প্রভাবে ট্রেড করতে গিয়ে নতুন ট্রেডাররা প্রতিনিয়ত লস করে থাকে। বার বার স্টপলস মুভ করা, প্রফিটের ট্রেড হোল্ড না করা বরং লসের ট্রেড মাসের পর মাস ধরে রাখা, লস হলে তা মানতে না চাওয়া মেনে, মানি ম্যানেজমেন্ট রুলস হঠাৎ ব্রেক করা ফেলা, ওভার ট্রেড করা ইত্যাদি আরও অনেক কিছুই এই ইমোশনের প্রভাবে হয়ে থাকে।

আপনার যদি নিজের এনালাইসিসের উপর Confidence থাকে তাহলে মার্কেটকে প্রমান করতে দিন যে আপনার এনালাইসিস সঠিক ছিল। মনে রাখতে হবে বার বার ইমোশনের প্রভাবে নিজের ট্রেডিং সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা সফল ট্রেডিংয়ের পথে অনেক বড় বাধা। উচিত হবে একটি STREGHT FORWARD এবং লিখিত ট্রেডিং প্লান অনুসরন করা যার ভিতরে থাকবে আপনার ট্রেডিং স্ট্রাটেজি এবং মানি ম্যানেজমেন্ট প্রিন্সিপাল। তাহলে আস্তে আস্তে ইমোশনাল ট্রেডিং অনেকাংশে হ্রাস পাবে।

৬. প্রতিদিনের ট্রেডিং জার্নাল অনুসরণ করতে হবে এবং প্রতিনীয়ত শিখার মানসিকতা রাখতে হবে (Keep a Trading Journal and Learn along the Way):

সঠিকভাবে ট্রেডিং জার্নাল অনুসরণ করলে এই ট্রেডিং জার্নালই আপনাকে আপনার ট্রেডিংয়ের দূর্বলতাগুলো খুব সহজেই বুঝতে সাহায্য করবে। মানি ম্যানেজমেন্টের দূর্বলদিকগুলো চলে আসবে আপনার চোখের সামনে, ট্রেডিংয়ের ভূলগুলোকে এনালাইসিস করে সেগুলো সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া অনেক সহজ হবে।

নিজের ট্রেডিং জার্নাল প্রতি সপ্তাহে, মাসে এবং ৩ মাস পর পর এনালাইসিস করতে হবে। নিজের ট্রেডিংয়ের উন্নয়ন নিজেকেই পরিলক্ষিত করতে হবে। এভাবেই একজন লুজারই পরিনত হয় একজন প্রফেশনাল ট্রেডার।

Recent Article
loading
Broker Section