loading

FOREX BASIC COURSE

মুদ্রাস্ফীতির কারণ এবং নিয়ন্ত্রন

  • 5.0 (4 reviews)
  • PUBLISH BY: FxsuccessBD
  • December 24th, 2019 01:15 am

সাধারণত মুদ্রা স্ফীতি বলতে এমন একটি অবস্থা বুঝায়, যখন দ্রব্য মূল্য অস্বাভাবিক রুপে বেড়ে যায় এবং অর্থের মূল্য ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে । মূলত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধিই হলো মুদ্রাস্ফীতি অর্থাৎ কোন দেশে মোট অর্থের যোগান তার চাহিদার তুলনায় বেশি হলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা যায় ।

যখন দেশে দ্রব্য সামগ্রির যোগানের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যায় এবং জনগণ বেশি টাকা দিয়ে কম পরিমাণ দ্রব্য সামগ্রী কিনতে বাধ্য হয়,  তখন সেই অবস্থাকে বলে মুদ্রাস্ফীতি । তবে মুদ্রাস্ফীতি কোন এক বা দুটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিকে বুঝায় না,  বরং সামগ্রিক অর্থনীতির সকল পণ্যের গড় মূল্য বৃদ্ধিকে বুঝায় । মুদ্রাস্ফীতি একটি ভারসাম্যহীন অবস্থা । এটি অর্থনীতির একটি সামগ্রিক কাঠামো । এ পরিস্থিতিতে অর্থনীতির মোট চাহিদা তার উৎপাদিত দ্রব্য ও সেবার যোগান থেকে বেশি হওয়ার কারণে দাম স্তর ক্রমেই বাড়তে থাকে ।

মুদ্রাস্ফীতির সাধারণ কারণগুলো হলো –

     ১.  মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম প্রধান কারণ হলো অর্থের যোগান বৃদ্ধি ।

     ২.  সরকারের আয়ের চেয়ে ব্যয় বৃদ্ধি পেলে মুদ্রাস্ফীতি ঘটে ।

     ৩.  বাণিজ্যিক ব্যাংক কর্তৃক সহজ শর্তে অধিক ঋণ দান ।

     ৪.    উৎপাদন হ্রাস আরেকটি উলেখযোগ্য কারণ ।

     ৫.  আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উদ্বৃত্ত মুদ্রাস্ফীতি ঘটায় ।

     . অনুৎপাদনশীল ঘাতে ব্যয় বৃদ্ধি ।

     ৭.  বেতন কাঠামো পরিবর্তন ও মুদ্রাস্ফীতি ঘটায় ।

     ৮. এছাড়াও সরকারের ঘাটতি ব্যয় নির্বাহ, মজুরিবৃদ্ধি, প্রাকৃতিকদুর্যোগ, কর হ্রাস এগুলোও মুদ্রাস্ফীতির অন্যতম কিছু কারণ ।

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকার যা করে থাকে  –

     ১.  ব্যাংকগুলো সুদের হার বৃদ্ধি, ঋণপত্র বিক্রয় ও নগদ জমার অনুপাতের বৃদ্ধি ঘটিয়ে থাকে ।

     ২.  সরকারি ব্যয় হ্রাস, করের পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে ।

     ৩.  দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণ, মজুরি নিয়ন্ত্রণ, উৎপাদন বৃদ্ধি ঘটানো হয় ।

     .  আমদানি বৃদ্ধি, প্রচলিত মুদ্রা বাতিল, ফটকা কারবার নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করে থাকে ।

 

Recent Article
loading
Broker Section